28.4 C
Bangladesh
শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫
BRS TIMES
আন্তর্জাতিকপ্রচ্ছদ

ইতালির নাগরিকত্ব নিয়ে বড় দুঃসংবাদ, যা রয়েছে নতুন আইনে

ইতালির নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তনের কারণে বিদেশে বসবাসরত ভাষা বা সংস্কৃতি না জানা ইতালীয়দের বংশধররা এখন আর সহজে নাগরিকত্ব পাচ্ছেন না। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এ নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। তবে এর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন দেশটির অনেক আইনপ্রণেতা।

পূর্বপুরুষ ইতালীয় হলে ভিন্ন দেশে জন্ম ও বসবাস করলেও ইতালির নাগরিক হওয়ার সুযোগ ছিল। ১৮৬১ সালের আইনের সংস্কার গত বুধবার অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ। এখন তা উচ্চকক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায়। এরপর গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর হবে নতুন বিধান।

এতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালীয় নাগরিকরা আর আগের মতো তাদের বংশধরদের জন্য নাগরিকত্বের সুযোগ নিশ্চিত করতে পারবেন না।

ইতালীয়রা মনে করেন, আগের মতোই নাগরিকত্বের সুবিধাটি দেওয়া উচিত। একজন বলেন, ‘আমি মনে করি এই নাগরিকত্ব প্রদানের সুবিধাটি দেওয়া উচিত। তবে নাগরিকত্ব পেয়ে তারা যেন ইতালিতে থাকে এবং দায়বদ্ধতা থাকে।’

অন্য আরেকজন বলেন, ‘আমি চাই বিদেশিদের নাগরিকত্ব প্রদানের সুবিধা দেয়া হোক। কিন্তু নাগরিকত্ব যেন শুধুমাত্র ইতালি থেকে সহজে অন্য দেশে না যাওয়ার কাজে লাগানো হয়। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে যেন কাজ করে।’

১৯৯২ সাল থেকে ‘ইয়ুস সাঙ্গুইনিস’ নীতি বা রক্তের অধিকারের মাধ্যমে দুই প্রজন্মের জন্য নাগরিকত্বের সুবিধা ছিল। যাদের কমপক্ষে একজন পিতা-মাতা, দাদা-দাদি ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তবে নতুন আইনে সেই সুবিধার সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

যদিও ২৭ মার্চ মধ্যরাতের আগে যারা বিদেশ থেকে আবেদন করেছেন, তারা আগের আইন অনুযায়ীই নাগরিকত্ব পাবেন।

কিন্তু দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনিও তাজানি বলেছেন, এই প্রক্রিয়া অনেক পুরাতন হয়ে গেছে এবং এটির অপপ্রয়োগ বন্ধে নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এড়াতে যারা ইতালির পাসপোর্ট নিয়ে থাকেন, তাদের আর সেই সুযোগ থাকছে না।

নতুন নীতিতে কী আছে?
গত শুক্রবার ইতালির নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন বিধান ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন বিধান অনুযায়ী ইতালির নাগরিকত্ব পেতে হলে জাস স্যাঙ্গুইনিস বা রক্তের সম্পর্ক থাকতে হবে।

নতুন নীতি অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির বাবা-মা অথবা দাদা-দাদির কেউ একজন ইতালিতে জন্মগ্রহণ করলে সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইতালির নাগরিকত্ব পাবে। এক্ষেত্রে ইতালির নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করা ৬০ হাজার আবেদনকারীর কোনো সমস্যা হবে না।

অন্যদিকে, যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা ইতালির নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। যদি না তারা ট্যাক্স, ভোটিং অথবা পাসপোর্ট রিনিউ না করেন। নতুন আইনের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে থাকা ইতালির কনস্যুলেটে আর নাগরিকত্বের আবেদন নেওয়া হবে না। এখন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ফেডারাল সরকার এটি দেখভাল করবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির সাক্ষাৎকার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে যারা ইতালির নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করবে তাদেরকে অবশ্যই ইতালিতে যেতে হবে।

পুরাতন নিয়ম অনুযায়ী প্রায় ৬ কোটি থেকে ৮ কোটি মানুষ ইতালির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। অথচ ইতালির জনসংখ্যা ৫ কোটি ৯০ লাখ।

নাগরিকত্ব আইনে কেন পরিবর্তন এনেছে ইতালি
বংশগত নাগরিকত্ব পাওয়া বিষয়টির সমালোচনা করেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই ধরনের প্রক্রিয়া এমন সব মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদান করত, বাস্তবিক অর্থে যাদের সঙ্গে ইতালির কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে নতুন আইন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিল।

বিআরএসটি / জেডএইচআর

Related posts

ইশরাককে শপথ পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

brs@admin

গ্রাফিতি আওয়ামী স্বৈরশাসনের ভয়াল দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দেবে : আসিফ মাহমুদ

News Desk

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা

brs@admin

সড়কে একই পরিবারের ৭ জনের প্রাণহানি

News Desk

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েদির মৃত্যু

News Desk

আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্যমে জুলাই পদযাত্রা শুরু এনসিপির

brs@admin
Translate »