যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯ জনে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। এ তথ্য দিয়েছেন টেক্সাস গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট। আজ বুধবার (৯ জুলাই) ফক্স নিউজ, এনবিসি নিউজসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবর নিশ্চিত করেছে।
বন্যার চার দিন পরও কাদামাখা নদীতীর ও জলাবদ্ধ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে আরও জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। এর মধ্যে আরও বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাসে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
টেক্সাসের কার কাউন্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানেই গুয়াদালুপে নদীর পানি শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎ বেড়ে যায়। ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের সরকারি ছুটির দিনেই ঘটে এই বিপর্যয়।
এ কাউন্টিতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৭ জন— যাদের মধ্যে ৫৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৩১ জন শিশু। এখনও পর্যন্ত ১৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৭ শিশুর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় শেরিফ অফিস।
এদিকে ‘ক্যাম্প মিস্টিক’ নামে একটি খ্রিস্টান গার্লস সামার ক্যাম্প নিশ্চিত করেছে, নিহতদের মধ্যে তাদের ২৭ জন শিক্ষার্থী ও কর্মী রয়েছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ট্র্যাজেডিতে আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। আমরা শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে রয়েছি।
জানা গেছে, ক্যাম্প মিস্টিকের সহ-স্বত্বাধিকারী ও পরিচালক ৭০ বছর বয়সী রিচার্ড ইস্টল্যান্ড শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারান। স্থানীয় পাদরি ডেল ওয়ে বিবিসিকে বলেন, পুরো কমিউনিটি তাকে মনে রাখবে। তিনি সত্যিকারের একজন বীর।
এদিকে, এই বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় কেউ কেউ জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা (এনডব্লিউএস) এক এর মূল সংস্থা এনওএএর কর্মী ছাঁটাইকে দায়ী করছেন তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজেট কমানোয় সতর্কতা ব্যবস্থায় ঘাটতি থেকে থাকতে পারে।
তবে হোয়াইট হাউজ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এটা ছিল ঈশ্বরের কর্ম। প্রশাসনের কোনো দায় নেই। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা যথাসময়ে বারবার সতর্কতা জারি করেছে।
বিআরএসটি/এসএস