বেলজিয়ামের ভবিষ্যৎ রানি, প্রিন্সেস এলিজাবেথের শিক্ষাজীবনে একটি বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পড়াশোনা শুরু করা এই ২৩ বছর বয়সী রাজকুমারী, যিনি বেলজিয়ামের সিংহাসনের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী, এখন তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে হতাশার মুখে পড়েছেন। বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার সুযোগ ও সংস্কৃতির বিনিময় সংকটে পড়েছে, যা শিক্ষার স্বাধীনতা ও বৈচিত্র্যের জন্য বড় একটা সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২শে মে) ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি বাতিল করার ঘোষণা দেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ করে যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এন্টি-সেমিটিজমের (ইহুদি-বিদ্বেষ) বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা প্রদর্শন করছে।
এর ফলে, প্রায় ৭,০০০ বিদেশি শিক্ষার্থী, যার মধ্যে প্রিন্সেস এলিজাবেথও রয়েছেন, তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) সার্টিফিকেশন বাতিল হয়ে গেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদেশি ছাত্রদের ভিসা স্পনসর করতে বাধা দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে অনেকেই প্রতিশোধমূলক বলেই মনে করছেন।
প্রিন্সেস এলিজাবেথ ২০২৪ সালে হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুলে পাবলিক পলিসি নিয়ে মাস্টার্স পড়াশোনা শুরু করেন। এর আগে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বেলজিয়াম রাজপরিবার এই সংকটের বিষয়ে সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
রাজপ্রাসাদের মুখপাত্র এবং যোগাযোগ পরিচালক বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং আশাবাদী যে দ্রুত পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেছে, এবং সাময়িকভাবে একটি মার্কিন বিচারক এই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন, যদিও পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত। তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স,
বিআরএসটি / জেডএইচআর