বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে নারী নির্যাতনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে ‘নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অসম্মান: প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন নারী সমাজ’ শীর্ষক মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে মুখে কালো কাপড় বেঁধে শাহবাগ থেকে মৌনমিছিল বের করেন অংশগ্রহণকারীরা। পরে এটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষকরা যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। আইনের অপব্যবহার করে অপরাধীরা যাতে পার পেয়ে না যায় সেদিকেও নজর দেব।
দেশে একটি দল ধর্মের নামে রাজনীতি করছে বলেও উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দলটি বলছে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিবে, এতে নারীরা কর্মসংস্থান হারাবে। তারা নারীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে চায়। ধর্মের নামে রাজনীতির ব্যবসা করে ভোটের বৈতরণী পার হতে চায়।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আগামীতে ধর্মীয় পরিচয়ে কোন বিভাজন থাকবেনা। সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনার কার্যকর প্রতিবাদ এখনও গড়ে তুলতে পারিনি। কিছু কিছু আইন প্রণয়ন হয়েছে। কিন্তু ঘটনার প্রেক্ষিতে সেসব আইন সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই সনদে যেভাবে দলগুলো স্বাক্ষর করেছে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর বাহিরে নতুন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে জনগণ বিবেচনা করবে।
কোন আইন-আদেশ দিয়ে সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং কোন আরোপিত বিষয় সংসদর সার্বভৌমত্ব খর্ব করা হলে বিষয়ে কঠোর নজর রাখা হবে বলেও সতর্ক করে দেন তিনি।
বিআরএসটি/এসএস

