রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে নতুন রেকর্ড অর্জন করেছে। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগস্ট মাসে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে আলোচিত কয়লাভিত্তিক রামপালের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
আগস্ট মাসে কেন্দ্রটি ৭৭১.৭০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। যা দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের (১০ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট) ৭.১৫ শতাংশ।
গত তিন মাস ধরে প্ল্যান্টটি ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসে ৬০০ মিলিয়ন ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে, যার মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৬.৪ মিলিয়ন ইউনিট।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) আনোয়ারুল আজিম।
৬৬০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টটি গত মাসে ৭৭১ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। যা এ পর্যন্ত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক মাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন।
এটি দেশের মোট ১০ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত তিন মাস ধরে প্ল্যান্টটি ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসে ৬০০ মিলিয়ন ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে, যার মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬ মিলিয়ন ইউনিট।
রামপাল মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) আনোয়ারুল আজিম জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রীর প্রতীক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভরশীল হলেও আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এটি আধুনিক পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা-ফ্লু-গ্যাস ডি-সালফারাইজেশন, উন্নত ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রিসিপিটেটর, ২৭৫ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন চিমনি, ক্লোজড-সাইকেল কুলিং এবং জিরো লিকুইড ডিসচার্জ সিস্টেম যা পরিচ্ছন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করছে।
তিনি আরও জানান, স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে এই কেন্দ্র শিল্পোন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের এক ভিত্তি স্তম্ভ।
বিআরএসটি/এসএস

previous post