মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। শনিবার (১৬ আগস্ট) সিরাজদিখানের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
ভ্যাকসিন উৎপাদনের পর তা ফ্রিজিং করে সারা দেশে পাঠাতে হবে। এজন্য এমন জায়গা প্রয়োজন, যেখান থেকে সহজে পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব। গোপালগঞ্জ এ জন্য ফিজিবল নয়। ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য যেসব প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন, তাদের সেখানে সব সময় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই সিরাজদিখানেই প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
নূরজাহান বেগম জানান, এরইমধ্যে ৪০ একর জমি বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিসিক। এরপর ধাপে ধাপে যন্ত্রপাতি আমদানি ও অন্যান্য অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সব মিলিয়ে পূর্ণ সক্ষমতা অর্জনে আরও আড়াই থেকে তিন বছর সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আমরা প্রায় ৭০ শতাংশ ওষুধ সরবরাহ করতে পারছি। কোয়ালিটির দিক থেকে এগুলো কোনো প্রাইভেট উৎপাদকের চেয়ে কম নয়। তবে ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ চাহিদা পূরণে অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে। সেগুলো আনার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।’
নূরজাহান বেগম জানান, অ্যান্টিভেনমসহ কিছু ওষুধ এখনো কার্যকর হচ্ছে না। তবে দেশের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ভ্যাকসিন ও ওষুধ উৎপাদনে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
বিআরএসটি/এসএস