বিজ্ঞপ্তি ছাড়া বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ অ্যাডহক–ভিত্তিতে ৬৫ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়েছে কীভাবে তার কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এই নিয়োগ নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনসংখ্যার নীতি ২০২৫ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতলে পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে কী কারণে এমন নিয়োগ দেওয়া হলো সেই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনিভাবে যা যা দরকার তা করা হবে। আমরা কোনো বেআইনি কাজ করবো না এবং বেআইনি কাজকে প্রশ্রয় দেবো না।
তিনি বলেন, ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
নূরজাহান বেগম আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ তরুণরা ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসেবে এদের ক্ষমতায়ন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পছন্দের পরিবার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এজন্য কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক পছন্দ ও চাহিদাকে অনুধাবণ করা, সেই সঙ্গে এ সকল পছন্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়ক এবং প্রতিবন্ধকসমূহ চিহ্নিত করা প্রয়োজন। টেকসই উন্নয়ন, উন্নত জীবন ধারণ এবং সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য বংশানুক্রমিকভাবে ন্যায্যতা ও ন্যায় নীতিবোধ ধরে রাখা একান্ত প্রয়োজন।
বিআরএসটি/এসএস