জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্সের (অনার্স-মাস্টার্স) নিয়মিত ও কর্মরত শিক্ষকরা দীর্ঘ ৩২ বছর পর এমপিওভুক্ত হচ্ছেন।
বুধবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ওএমপিও নীতিমালা-২০২১ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, বেসরকারি কলেজের অনার্স কোর্সের শিক্ষকদের এমপিও প্রদানের বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ অনুমোদনের জন্য শিগগিরই অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
বঞ্চিত অনার্স কোর্সের শিক্ষক ও বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সহসভাপতি মো. জমির হোসেন বাসসকে জানান, সারাদেশে মোট ৪৯৫টি কলেজে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। যারা ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে কোনো প্রকার বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না ।
তিনি বলেন, একই কলেজে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস কোর্সের শিক্ষকগণ এমপিওভুক্ত হলেও স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্সের শিক্ষকরা এমপিও পায় না। তার মতে বার্ষিক মাত্র ১১১ কোটি টাকা হলেই এ সব শিক্ষকের এমপিওভুক্তি সম্ভব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ ৩২ বছর বেতন না পাওয়া একজন শিক্ষকের জন্য অনেক কষ্ট ও বঞ্চনার। শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সিআর আবরার এ বিষয়ে মানবিক হয়ে বঞ্চিত শিক্ষকদের এমপিও অনুমোদনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে হয়তো অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব তাজকির উজ জামান বলেন, বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের এমপিওর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ১১২ কোটি টাকা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পত্র পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
বিআরএসটি/এসএস

next post