যুক্তরাজ্য পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম অন্তত ১২টি এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে, যা ‘এক প্রজন্মে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক অবস্থানের সবচেয়ে বড় শক্তিবৃদ্ধি’ হবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের দপ্তর।
দ্য হেগে বুধবার অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো সম্মেলনে স্টারমার নিজেই এই যুদ্ধবিমান কেনার ঘোষণা দেবেন। সেখানেই ন্যাটো নেতারা প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর একটি বড় পরিকল্পনা অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা কেবল সাবমেরিন নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চরম অনিশ্চয়তার এই যুগে আমরা আর শান্তিকে নিশ্চিত বলে ধরে নিতে পারি না। এ কারণেই আমার সরকার আমাদের জাতীয় নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুই ধরনের অস্ত্র বহনে সক্ষম এই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলো আমাদের বিশ্বসেরা রয়াল এয়ার ফোর্সের এক নতুন যুগ সূচিত করবে এবং যুক্তরাজ্য ও আমাদের মিত্রদের হুমকির মুখে একটি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যের এই ঘোষণাকে ‘ন্যাটোর প্রতি আরো একটি বলিষ্ঠ ব্রিটিশ অবদান’ হিসেবে দেখছেন।
এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানি লকহিড মার্টিন নির্মিত এবং এটি যুক্তরাজ্যের এয়ার ফোর্সে ব্যবহৃত এফ-৩৫বি মডেলের মতো হলেও পারমাণবিক বোমা বহন করার পাশাপাশি প্রচলিত অস্ত্রও বহন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ ন্যাটোর সাতটি সদস্য রাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ইউরোপে এমন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিপজ্জনক বি৬১ পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম। যুক্তরাজ্যও একই ধরনের বোমা বহন করবে বলে জানিয়েছে এএফপি।
ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিমানগুলো ন্যাটোর পারমাণবিক বহুমুখী অস্ত্রবাহী বিমান মিশনের অংশ হিসেবে মোতায়েন করা হবে এবং এটি জোটের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো শক্তিশালী করবে।
নতুন যুদ্ধবিমানগুলো নরফোকের মারহাম বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন করা হবে। বিমানগুলো কেনার ফলে যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে, কারণ এই বিমান তৈরির বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের ১৫ শতাংশ যুক্তরাজ্যে অবস্থিত।
বিআরএসটি / জেডএইচআর