গাজায় ‘ভয়াবহতা’ বন্ধ করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প ও গণমাধ্যমের ৩০০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে সম্বোধন করা খোলা চিঠিটি বৃহস্পতিবার (২৯ মে) স্কাই নিউজ পেয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গাজার ভয়াবহতায় যুক্তরাজ্যের জড়িত থাকার অবসান ঘটাতে আমরা আপনাকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, দুয়া লিপা, অ্যানি লেনক্স, গ্যারি লিনেকার, পালোমা ফেইথ এবং লেনা হেডির মতো শীর্ষ পরিচিত ব্যক্তিরা এই চিঠিতে সই করেছেন। শীর্ষস্থানীয় ডাক্তার, শিক্ষাবিদ, প্রচারণা গোষ্ঠী এবং হলোকস্ট থেকে বেঁচে যাওয়া একজন ব্যক্তিও এতে যোগ দিয়েছেন।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, শরণার্থী দাতব্য সংস্থা চুজ লাভের নেতৃত্বে লেখা এই চিঠিতে ব্রিটিশ সরকারকে ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র বিক্রির অনুমতি দেওয়ার এবং অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের অভিযোগ করা হয়েছে। অবিলম্বে এটি স্থগিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে সাহায্য সংস্থাগুলোর জন্য অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারকে ‘গাজার শিশুদের জন্য’ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, ‘আপনি এটাকে অসহনীয় বলতে পারেন না। আপনি কিছুই করছেন না। প্রধানমন্ত্রী, আপনি কোনটি বেছে নেবেন? যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকা, নাকি পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস?’
৮০০ জনেরও বেশি বিচারক এবং আইনজীবী ব্রিটিশ সরকারকে ‘গণহত্যা প্রতিরোধ এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য’ যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানোর পর এই চিঠিটি প্রকাশিত হলো।
যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় এক ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েছে, যেখানে ৫৪,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সাহায্য সংস্থাগুলো ২০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যার এই অঞ্চলে মধ্যে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
গত নভেম্বরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
বিআরএসটি / জেডএইচআর