আবদুল কাইয়ুম মিঠু, ঢাকা : রাজধানীর উত্তরায় আবারো গুমের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার ভোরে (২২ সেপ্টেম্বর) মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে কে এম মামুন বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে আর কোনো খোঁজ মিলছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবারের পাশাপাশি বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ ও সহযোদ্ধারা চরম উদ্বেগে রয়েছেন।
নিখোঁজ মামুনের স্ত্রী খাদিজা বেগম গতকাল দুপুরে তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর-১২৩১, তারিখ ২২/০৯/২০২৫) করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের অভিযোগ—গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে মামুনকে ফোন করে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
কে এম মামুন দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে তিনি বিভিন্ন সময়ে হুমকির মুখে ছিলেন বলে সহযোদ্ধাদের অভিযোগ। তাদের ধারণা, মামুনের নিখোঁজ হওয়া নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত অপহরণ।
বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, “জিডি করার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধীরগতি আমাদের হতাশ করছে। মামুনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাকে দ্রুত উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মামুনের নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা বলছে, “যদি মামুনকে অপহরণ করা হয়ে থাকে, তবে এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত।”
তারা দ্রুত মামুনকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত আনার জোর দাবি জানিয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
বিআরএসটি/এসএস

