আর্জেন্টাইন যাদুকরের শুরুটা যেখানে হয়েছিল আজ ঠিক সেখানেই শেষটা রাঙালেন। জোড়া গোল করে ম্যাচ শেষে নিজের দেশে আর না খেলার ঘোষণা বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা লিওনেল মেসি নিজেই দিলেন। স্টেডিয়ামে নিজ পরিবার ও ভক্তদের সামনে আবেগঘন কণ্ঠে জানালেন দেশের হয়ে স্বপ্নপূরণের কথা। তবে একই সঙ্গে ভক্তদের উৎকণ্ঠায় রেখে জানালেন আগামী বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
মেসি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। এভাবেই শেষ করতে পারা আমার সবসময়ের স্বপ্ন ছিল। আমার নিজের মানুষদের সঙ্গে এভাবে বিদায় নেওয়ার সুযোগ পাওয়াটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
বার্সেলোনায় দীর্ঘদিন খেলে যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন, সেই অনুভূতিটাই যেন ফুটে উঠল দেশে শেষ ম্যাচ খেলার পর।
মেসির জানান, ‘অনেক বছর ধরে আমি বার্সেলোনায় মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমার স্বপ্ন ছিল, দেশে এসেও সেটা যেন পাই। অবশেষে সেটা হলো।’
জাতীয় দলের হয়ে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ জিতেছেন মেসি।
রাঙিয়েছেন অসংখ্য ভক্তের হৃদয়। আর্জেন্টিনার মাটিতে পথচলায় কঠিন ছিল জানিয়ে মেসি বলেন, ‘অনেক বছর ধরে অনেক কথা হয়েছে। তবে আমি ভালো জিনিসগুলোই মনে রাখতে চাই— দলটা চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারছিল না। পরে আমাদের কয়েকজনের জন্য সেটা সম্ভব হয়েছে। যেটুকু অর্জন করেছি, যেটুকু পথচলা কেটেছে—সবই ছিল অসাধারণ।
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে মেসি বলেন, ‘বয়স হয়েছে, আমি আগেও বলেছি মনে হয় না আরেকটি খেলতে পারব। তবে আর তো বেশি দিন নেই। আমি এখন অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। আপাতত আমি দিন ও ম্যাচ ধরে আগাতে চাচ্ছি।’
এদিকে ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আবেগঘন কণ্ঠে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছিলেন, কিংবদন্তির সঙ্গে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে শুরু করে কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া তার জীবনের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য।
মেসির সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে স্কালোনি বলেন, ‘আমি ওর পাশে খেলেছি। কেবল বলটা ওর পায়ে দেওয়া মানেই ছিল বিশেষ কিছু। আর ওর সঙ্গে বিশ্বকাপ জেতা, ওর হাতে ট্রফি ওঠতে দেখা—এটা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। সময় যত যাবে, আমরা আরও বুঝতে পারব আসলে এর মানে কী ছিল।’
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। তবে সেই ম্যাচে খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেসি।
বিআরএসটি / জেডএইচআর