আগামী ২৯ ও ৩০ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপান সফরে যাচ্ছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে এটি হবে ১৫তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন এবং মোদির অষ্টম জাপান সফর।
দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা নতুন মাত্রা পেতে পারে। বিশেষ করে আলোচনায় রয়েছে প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ প্রায় ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা, যা ভারতের অবকাঠামো, উৎপাদন ও প্রযুক্তি খাতে এক যুগান্তকারী ধাপ হতে পারে।
পাশাপাশি মুম্বাই–আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে জাপানি শিঙ্কানসেন প্রযুক্তি যোগ হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করবে।
২০০৮ সালের যৌথ নিরাপত্তা ঘোষণাকে নতুন আকার দেওয়ার বিষয়েও আলোচনার ইঙ্গিত মিলছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ যেখানে বাণিজ্যিক চাপে ভারতকে ঘিরে রেখেছে, সেখানে জাপানের এই অঙ্গীকার ভারতের কূটনীতিকে এক নতুন বলয় দিচ্ছে।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় ভারতের এই পদক্ষেপকে চীন কৌশলগত দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছে, আবার পশ্চিমা বিশ্বও এটিকে ভারতের স্বাধীন কূটনৈতিক পথচলার নিদর্শন হিসেবে দেখছে।
বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য এ সফরের তাৎপর্য এই যে—আঞ্চলিক অর্থনীতি ও নিরাপত্তার নতুন সমীকরণে ভারত–জাপান ঘনিষ্ঠতা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
মোদির এই সফর কেবল দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি নয়, বরং বহুমাত্রিক কূটনীতির সাহসী দাপটের প্রকাশ।
বিআরএসটি/ জেডএইচআর