টানা বৃষ্টিতে কেবল কৃষিখাত নয়, জনজীবনও স্থবির হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, “বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর মধ্যবর্তী অন্তত ২০টি বিল ও ১০টি গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি। গ্রামীণ রাস্তায় হাঁটু পানি, স্কুলে ক্লাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে, আর স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই।”
সাতক্ষীরা পৌর শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ। ভ্যানচালক কাদের বলেন, “রাস্তায় পানি উঠলে ভ্যান চালানো যায় না। ঘরে বসে থাকলে পরিবার চলে না। টানা বৃষ্টিতে জীবনটাই থেমে যায়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকা এবং খাল দখলের কারণে এমন দুর্ভোগ বারবার হচ্ছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “টানা বর্ষণে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসাব করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।”
এদিকে, সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানিয়েছেন, আগামী ৪-৫ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি সরকারি পদক্ষেপ ও ত্রাণ সহায়তা না এলে কৃষকদের চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ।
বিআরএসটি/এসএস