ভোলার লালমোহন পৌরসভার একটি মাল্টি-পারপাস মার্কেটের ঘর বরাদ্দের নামে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর শহরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন প্রধান খাল থেকে থানার মোড় পর্যন্ত বয়ে যাওয়া সংযোগ খালের ওপর পৌর মাল্টি-পারপাস মার্কেট নির্মাণ করেন মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন।
ওই মার্কেটের ১২৪টি ঘর বরাদ্দের জন্য গ্রাহক প্রতি আড়াই থেকে তিনলক্ষ টাকা করে নিয়ে মাত্র একলক্ষ টাকা পৌর কোষাগারে জমা দেখান তিনি। ঘরপ্রতি বাকি দেড়-দুইলক্ষ টাকা করে ১২৪টি ঘরের প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মেয়র তুহিন।
এদিকে বরাদ্দ হলেও জেলা পরিষদের বাঁধার কারণে মার্কেটের ঘরগুলো গ্রাহকদের বুঝিয়ে দিতে পারেননি। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরে ১৮ আগস্ট পৌরসভার মেয়রদেরকে অপসারণ করে সংশ্লিষ্ট স্থানে প্রশাসক নিয়োগ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। পরে পৌর প্রশাসক কর্তৃক ওই মার্কেটের ঘরগুলো গ্রাহকদের বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিলে প্রকাশ পায় মেয়রের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা।
ওই মার্কেটে বরাদ্দ পাওয়া একাধিক গ্রাহকের সাথে আলাপকালে পৌরসভায় ঘরপ্রতি আড়াই থেকে তিনলক্ষ টাকা দেয়ার কথা জানান তারা। তবে ঘর হারানোর ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে চান না তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, একলক্ষ টাকা করে পৌরসভার ফান্ডে জমা হয়েছে। আর যে বাড়তি টাকা নিছে, সেই টাকা আমি নিয়েছি এরকম না। অফিসিয়াল খরচের নামে এ টাকাটা নিয়েছে বলে সাবেক এমপির ওপর দায় চাপান তিনি। এ অফিস কোনটা? এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র সেটাকে ‘পেট অফিস’ বলে আখ্যা দেন।
বিআরএসটি/এসএস