রাশিয়া থেকে তেল কেনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর হুমকিকে ‘অযৌক্তিক ও অহেতুক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে ভারত। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সোয়াল বলেন, ইউক্রেন সংঘাতের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রই ভারতকে রাশিয়ার গ্যাস আমদানিতে উৎসাহ দিয়েছিল। খবর বিবিসির।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেইনে কতজন মারা যাচ্ছে, তা নিয়ে ভারতের মাথাব্যথা নেই। সে কারণেই দিল্লির ওপর শুল্ক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানোর হুমকি দেন তিনি।
তবে শুল্ক বাড়িয়ে কত করা হতে পারে, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। ভারতের পণ্যে কয়েকদিন আগেই তিনি ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি।
ভারত রাশিয়ার তেলের অন্যতম বৃহত্তম ক্রেতা। ২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেইনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযানে নামার পর একাধিক ইউরোপীয় দেশ বাণিজ্য বন্ধ করায় ভারত ক্রমেই রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি বাজারে পরিণত হয়।
বিবৃতিতে রনধীর জয়সোয়াল বলেন, ইউক্রেইন সংঘাতের শুরুর দিকে ‘বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের স্থিতিশীলতা জোরদারে’ যুক্তরাষ্ট্রই ভারতকে রাশিয়ার গ্যাস আমদানিতে উৎসাহ যুগিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘ভারত রাশিয়া থেকে আমদানি শুরু করে কারণ, আগে তারা যেখান থেকে তেল পেত, সংঘাত শুরুর পর তা ইউরোপমুখী হয়ে যায়।’
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই যখন এখনো রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, তখন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের কথা বলা অনুচিত। কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা ও নানান শুল্কের পরো গত বছর মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটন আনুমানিক সাড়ে তিনশ কোটি ডলারের পণ্যের বাণিজ্য করেছে।
তিনি বেলন, ‘যেকোন বড় অর্থনীতির মতো, ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
তিনি আরো বলেন, ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করা অযৌক্তিক।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতকে বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেছিলেন, মার্কিন পণ্যে নয়া দিল্লির শুল্ক অনেক বেশি। সেসময়ই তিনি রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করায় ভারতকে শাস্তি দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।
বিআরএসটি / জেডএইচআর