28.4 C
Bangladesh
শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫
BRS TIMES
প্রচ্ছদরাজনীতি

স্বৈরাচার রুখতেই সংলাপে অংশ নিচ্ছি: সালাহউদ্দীন আহমদ

স্বৈরাচার রুখতেই সংলাপে অংশ নিচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ। সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের ২০তম দিনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, এ দিন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নেন দলটি। এ বিষয়ে সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ না জন্ম নিতে পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন- সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব দিয়েছি নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে। সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

তিনি বলেন,আমরাই প্রস্তাব করেছি যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে, পরবর্তীতে সংসদ কোনো সংশোধনী আনলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া মানে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।

তবে এসব অগ্রগতির মধ্যেও নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, কেবল দায়িত্ব আর জবাবদিহি থাকে, তাহলে তা কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।

সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগে নির্বাহী বিভাগের হাত-পা বাঁধা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাহী বিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে, দুর্বল নয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তারা সংলাপে অংশ নিচ্ছে একটি গঠনমূলক লক্ষ্য নিয়ে, তবে যেখানে মৌলিক দ্বিমত রয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা বা মতপার্থক্য প্রকাশ করাও গণতন্ত্রের ভাষা।

সালাহউদ্দীন বলেন, সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে এমন দাবি কেউ করেনি। দ্বিমত থাকবে, ভিন্নমত থাকবে, আর সেগুলোর মধ্য দিয়েই তো গণতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে যায়।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা মনে করি না যে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কাউকে ঐকমত্যে বাধ্য করা উচিত। ঐকমত্যের অর্থই হচ্ছে সকলকে সঙ্গে নিয়ে পথচলা। বিএনপি অংশ না নিলে কীভাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

বক্তব্য শেষে তিনি জানান, সংলাপের পরবর্তী পর্যায়ে বিএনপি অংশ নেবে এবং ইতিবাচক আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।

প্রসঙ্গত, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টার পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিরীক্ষক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান আলোচনা শুরু হলে সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে বিএনপির প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইসমাইল জবিউল্লাহ। ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে তাঁরা আবারও সংলাপ যোগ দেন।

বিআরএসটি / জেডএইচআর

Related posts

বিনা অনুমতিতে ছবি-ভিডিও ব্যবহার, প্রভার হুঁশিয়ারী

News Desk

বিমান বিধ্বস্ত, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

News Desk

যে স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ

brs@admin

ভারতে রথযাত্রায় পদদলিত হয়ে তিনজন নিহত

brs@admin

আঠারো বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

News Desk

আজ ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি

News Desk
Translate »