গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। শনিবার (১৯ জুলাই) দু’টি ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে বলে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, গাজার খান ইউনিসের দক্ষিণ-পশ্চিম ও রাফাহর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত দু’টি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে’ এসব মানুষ প্রাণ হারান।
গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজা কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনার জন্য বরাবরই ইসরায়েলি বাহিনীকে দায়ী করে আসছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোর হওয়ার আগে তিনি পাঁচ আত্মীয়কে নিয়ে খান ইউনিসের আল-তিনা এলাকায় ত্রাণ নিতে যান। তখন ‘ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায়’।
৩৭ বছর বয়সী আবদুল আজিজ আবেদ বলেন, ‘আমরা কেউই ত্রাণ পাইনি। প্রতিদিন যাই, আর ফিরে আসি গুলি আর হতাশা নিয়ে।’ আরও তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীও সেনাদের গুলি চালানোর অভিযোগ করেছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, রাফাহ এলাকায় অভিযানের সময় কিছু লোক সেনাদের দিকে এগিয়ে এলে তারা হুমকি অনুভব করেন। সরে যেতে বলার পরও কেউ না সরায়, সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাটি তদন্তাধীন। তারা জানায়, গভীর রাতে ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গুলি ছোড়া হয়েছিল। তখন সেখানে কোনো কার্যক্রম চলছিল না।
এদিকে গাজার নুসাইরাত এলাকার এক বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স। তবে গাজায় গণমাধ্যমের কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ ও বহু এলাকায় প্রবেশের বাধার কারণে এসব তথ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বিআরএসটি / জেডএইচআর