মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এই অবস্থায় সমুদ্র বন্দরসমূহকে যে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল তা বুধবার দুপুর ২টায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটি এই জেলার সকল নৌরুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তবে নদ-নদীর উত্তাল পরিস্থিতি কমলেও জেলার অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে গত দুই দিন যাবত ভোলার চরফ্যাশনের বেতুয়া-ঢাকা, মনপুরা-ঢাকা, হাতিয়া-ঢাকা ও ভোলা-লক্ষীপুরসহ অভ্যন্তরীণ মোট ১৬টি রুটে নৌ চলাচল বন্ধ রেখেছিলো বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলা জেলা বন্দর কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন বাসস’কে জানিয়েছেন,আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় আজ দুপুরে জেলার অভ্যন্তরীণ ও অন্যান্য সব রুটে নৌযান চলাচলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ভোলার ব্রাদার্স নেভিগেশনের ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিন জানান, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার হওয়ায় আমাদের কর্ণফুলী সিরিজের লঞ্চগুলো আজ থেকে আবার চলাচল শুরু করেছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাত এবং অতিজোয়ারে ভোলার মনপুরা ও চরফ্যাশনের বহু নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর মিলেছে। জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলাগুলোর বেড়ী বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল। গত দুইদিনের মূষলধারের বৃষ্টিতে জেলার জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে।
আগামী ২/১ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিআরএসটি/এসএস