রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
BRS TIMES
আন্তর্জাতিকপ্রচ্ছদ

অভিবাসী বিতাড়ণের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কারের কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যদিও তার এই নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণনির্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে’ ফেডারেল সংস্থাগুলো যেন ‘তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে’—এমন নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বিশেষভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো ও নিউইয়র্ক শহরের কথা উল্লেখ করেছেন।

এই শহরগুলোয় ৬ জুন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কারণে ট্রাম্প আইনি চ্যালেঞ্জ ও ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, এই অভিযানের পেছনে তিনি ‘সম্পূর্ণ প্রশাসনের সব ধরনের সম্পদ নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন’। তিনি আরো প্রতিশ্রুতি দেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিনষ্টে যারা ভূমিকা রাখে, তাদের কাউকেই দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’

ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ), ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টসহ (আইসিই) বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থার উদ্দেশে ট্রাম্প লেখেন, ‘তোমরা আমার অটল সমর্থন পেয়েছ। এবার এগিয়ে যাও, কাজটা শেষ করো!’

ট্রাম্পের এই পোস্টের এক দিন আগে তার অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ জুন ‘নো কিংস’ আন্দোলনের আয়োজনে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়। একই দিনে আবার প্রেসিডেন্টের ৭৯তম জন্মদিন ছিল। পাশাপাশি মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজনও ছিল।

অন্যদিকে ইউটাহর সল্ট লেক সিটিতে ‘নো কিংস’ মিছিলে গুলির ঘটনায় একজন নিহত হন।

ট্রাম্প অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে ‘সাংচুয়ারি শহরগুলো’কে লক্ষ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন—যেসব শহর ফেডারেল অভিবাসন সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায় সীমাবদ্ধতা আরোপ করে থাকে। এই শহরগুলো বর্তমানে ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য আইন প্রণেতাদের মধ্যে উত্তেজনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকার কর্মকর্তারা অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষায় তাদের আইনি অধিকার রক্ষা করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

গণবহিষ্কার প্রসঙ্গে ট্রাম্প যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বহিষ্কার অভিযান’, এই নতুন নির্দেশ তারই বাস্তবায়নের প্রতীক।

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিচালিত জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, এই নীতির ব্যাপক জনসমর্থন ছিল। তবে বাস্তবে বহিষ্কার কার্যক্রম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভও বেড়ে চলেছে।

ট্রাম্পের এই নতুন আদেশের এক দিন আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কৃষি খামার, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় অভিযান সাময়িক স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।

 বিআরএসটিজেডএইচআর

Related posts

থাইল্যান্ডে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৪

News Desk

‘সম্ভাব্য যুদ্ধের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক

brs@admin

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

News Desk

দশ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

brs@admin

জামায়াতের জরুরি বৈঠক

News Desk

মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না: সেনাপ্রধান

News Desk
Translate »