লর্ডসের ঐতিহাসিক মঞ্চে ইতিহাস গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার আইসিসির কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জিতেছে, তাও আবার ক্রিকেটের এলিট ফরম্যাট টেস্টে! ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে টেম্বা বাভুমার দল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে শুধু সম্মান নয়, অর্থ পুরস্কারেও নতুন উচ্চতায় উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চোকার্স তকমা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে প্রোটিয়ারা পেয়েছে ৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার—বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
অন্যদিকে রানার্সআপ হয়ে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়ার পকেটে ঢুকেছে ২.১৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করায় ভারতীয় দল পেয়েছে ১.৪৪ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি হিসেবে ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার সমপরিমাণ।
চতুর্থ হয়ে নিউজিল্যান্ডের পকেটে ঢুকেছে ১.২০ মিলিয়ন ডলার বা ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ইংল্যান্ড পঞ্চম অবস্থানে থেকে অর্জন করেছে ৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার—প্রায় ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ষষ্ঠ হওয়া শ্রীলঙ্কা পেয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যার বাংলাদেশি পরিমাণ ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
সপ্তম স্থানে শেষ করা বাংলাদেশের প্রাপ্ত অর্থ ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার। অষ্টম হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে ৬ লাখ ডলার বা প্রায় ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নবম ও শেষ স্থানে থাকা পাকিস্তানের প্রাপ্তি ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা প্রায় ৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
আইসিসি এবার পুরো চক্রের জন্য প্রাইজমানি নির্ধারণ করেছিল ৫.৭৬ মিলিয়ন ডলার—যা আগের আসরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। আগের দুই আসরে যেখানে চ্যাম্পিয়ন দল পেত ১.৬ মিলিয়ন ডলার, সেখানে এবার দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্তিও ছিল আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি।
শুধু মাঠের লড়াই নয়, অর্থনীতির অঙ্কেও এবার রেকর্ড গড়ল আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। এতে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে পেয়েছে অর্থ পুরস্কার, যা ভবিষ্যতের টেস্ট সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ করতেই বড় প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।
বিআরএসটি / জেডএইচআর