বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার ছোটভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা বিএনপি নেতা নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন ও সাইফুল ইসলাম সবুজের পৃথক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হায়দার রহমান জয় (২০) ও শাকিল আহমেদ (৪৬)। টাঙ্গাইলের দিঘুলিয়া বেড়াডোমা গ্রামের আনিছুর রহমান নাহিদের ছেলে আর শাকিল আহমেদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রোববার নীলফামারী জেলার ডিমলা থেকে শাকিল আহমেদকে ও শনিবার রাতে হায়দার রহমান জয়কে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মির্জা ফখরুলের নাম ব্যাবহার করে প্রতারণার বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন উল্লেখ করেছেন, গত ১৭ মে ২০২৫ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় তিনি জানতে পারেন যে, ‘জয় খান’ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: ০১৭০৪-৫৫৩০৫৫) নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক ব্যক্তি (পরিচয় ও ঠিকানা অজ্ঞাত) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করেছেন। এই ভুয়া আইডি ব্যবহার করে অভিযুক্ত প্রতারকচক্র নিজেদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিচয় দিয়ে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদা ও অর্থ দাবি করছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতে তার নাম ভাঙিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরোয়ারে আলম খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে পৃথক পৃথক স্থান থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে পুলিশ পাঁচদিন রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ বিচারক আসামি হায়দার রহমান জয়ের তিন দিন এবং অপর আসামি শাকিল আহমেদের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। আরও কেউ জড়িত কিনা তা কিনা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।